সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জনস্বার্থে আঞ্চলিক বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দের টাকা না পেয়ে এখন বিপাকে পড়েছে ৪ (পিআইসি) প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ চরাঞ্চলের তেকানী ইউনিয়নের খেয়াঘাট হতে পশ্চিম-উত্তর দিকে তেকানী সরকারি প্রাথমিক স্কুল পর্যন্ত এ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। চলতি অর্থ বছরে এ বাঁধ নির্মাণে প্রায় ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়।
বিধিমতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে পৃথক ৪টি ৫ সদস্য বিশিষ্ট পিআইসি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত¡াবধানে ওই ৪ পিআইসি কমিটি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর পরামর্শে এ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে। ওই বরাদ্দের চেয়ে ৩ গুনের বেশি অর্থাৎ ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করে পিআইসি কমিটি। গত জুলাই মাসের শেষ দিকে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় এবং বরাদ্দের টাকার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে পিআইসি। প্রকল্পে বরাদ্দের ১২ লাখ টাকাসহ প্রকল্পের কাজে অতিরিক্ত ব্যয় আরো ৩ কোটি টাকা দাবী করছে পিআইসি কমিটিগুলো। এ বিষয়ে ওই বাঁধ নির্মাণের ১টি অংশের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও তেকানী ইউপি চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, স্থানীয় সাবেক এমপির নির্দেশে উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন বিভাগ জনস্বার্থে ওই বাঁধ নির্মাণে পৃথক ৪টি পিআইসি কমিটি গঠন করা হয়।
৫ সদস্য বিশিষ্ট এ গঠিত পিআইসি গুলোতে আমিসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সভাপতি ও সদস্য সচিব ছিলেন। এ পর্যন্ত বরাদ্দের ৮৬ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্প বরাদ্দের ১২ লাখ টাকাসহ অতিরিক্ত ৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়নি। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সম্ভবত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম শাহা আলম মোল্লা বলেন, চরাঞ্চলের ওই বাঁধ নির্মাণের ব্যয় বরাদ্দের ৮৬ লাখ টাকা পিআইসিকে প্রদান করা হয়েছে। পিআইসির দাবিকৃত অতিরিক্ত কাজের আরো ৩ কোটি টাকার বিষয়টি সংযুক্ত হয়নি।
তবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ হয়েছে। নিজে যথাসময়ে প্রকল্প পরিদর্শন করেছি এবং বরাদ্দের চেয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ গুন ব্যয় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত দাবিকৃত টাকা প্রদানের বিষয়ে এখন কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।